আমার বাংলাদেশ পার্টিকে (এবি পার্টি) নিবন্ধন না দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনে (ইসি) প্রতিবাদলিপি দিয়েছে দলটি। ইসির সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনারদের উদ্দেশ্যে দলটির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী বলেছেন, ‘আপনাদের বিবেকের কি কোনো দংশন নাই? বিবেক কি আপনাদের দংশন করে না?’
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিবন্ধন না পাওয়ায় প্রতিবাদ ও নিবন্ধন দেওয়ার দাবিতে প্রতিবাদলিপি জমা দেয় এবি পার্টি। এ সময় দলটির আহ্বায়ক সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন।
এবি পার্টির প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, মাঠে ময়দানে সক্রিয়, কার্যকর এবং নিবন্ধনের নির্ধারিত সব শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও এবি পার্টিসহ একাধিক রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন না দিয়ে অপরিচিত, ভুঁইফোড় অকার্যকর দলকে নিবন্ধন দিয়ে নির্বাচন কমিশন চরমভাবে বিতর্কিত হয়েছে। ইতিমধ্যে জাতীয় গণমাধ্যম এবং সচেতন মহলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা দিয়েছে। একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের এমন পক্ষপাতমূলক ও বাস্তবতা বিবর্জিত সিদ্ধান্ত তাদের ক্ষুব্ধ করে এবং জাতির কাছে এই কমিশনের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। দলটি এবি পার্টিসহ সক্রিয় ও কার্যকর দলগুলোর নিবন্ধন দেওয়ার দাবি জানায়।
প্রতিবাদলিপি জমা দেওয়ার পর দলটির আহ্বায়ক এএফ এম সোলায়মান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ন্যায়বিচার পাব। ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবে। বাস্তবে ন্যায়–অন্যায় বোধের তফাৎ আমাদের বুঝতে কষ্ট হচ্ছে। আমরা এটা বুঝতে পারছি না। ন্যায়কে অন্যায় করা; অন্যায়কে ন্যায় করা, এটা আমরা দেখতে পারছি। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত করার ন্যায়বোধ জাগ্রত করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’
নিজেদের ছক থেকেই পিছিয়ে নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে দলটির আহ্বায়ক বলেন, ‘আপনারা যে পর পর এতগুলো অন্যায় করে যাচ্ছেন, আপনারা লোকজন লাগিয়ে মাটি খুঁড়ে মানুষের ছোটখাটো অন্যায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু যে দলকে নিবন্ধন দিলেন তাদের বিশাল বিশাল ত্রুটি, তাদের কোনো বাস্তবতা নাই। এ দেশের রাজনৈতিক দল এ দেশের গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, প্রশাসন, কেউ জানে না, তাদের নিবন্ধন দিয়ে যাচ্ছেন। আপনাদের কোথায় সেই বিবেকবোধ।’
নিবন্ধন পুনর্বিবেচনা চায় বিএমজেপি
নিবন্ধন পুনর্বিবেচনা করার আবেদন করেছে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি)। বিএমজেপি সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডলের ইসিতে জমা দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ‘বিএমজেপির নিবন্ধন সম্পর্কিত বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন। যারা এ দেশের নিপীড়িত মানুষের কথা রাজনৈতিকভাবে তুলে ধরার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী এ দলের দিকে তাকিয়ে আছে, তাদের একটি কথা বলার জায়গা হবে, এটা আশা করে। তাদের সেই চাওয়াকে বঞ্চিত করবেন না, আশা করি। এটা বিশ্বাস করতে চাই যে নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হয়ে এই দলের মর্মকথা বুঝতে সমর্থ হবে।’