গানটি নিয়ে অমিমেষ রায় বলেন, ‘আত্মসম্মানবোধকে ভিত্তি করে লেখা হয়েছে এই গান; অন্য কারও মতো হতে যাব কেন? পৃথিবীতে প্রত্যেক মানুষ আলাদা অস্তিত্ব নিয়ে এসেছে। একজনের সঙ্গে আরেকজনের আচরণ, চিন্তাভাবনা— সব আলাদা। এ গানে নিজের মতো করে বাঁচতে চাওয়ার তাগিদ তুলে ধরা হয়েছে।’
হাজং ভাষায় ‘নাহুবো’ শব্দের বাংলা অর্থ ‘হবে না’; পৃথিবীতে আসার পর মানুষের ওপর নানা ধরনের চাপ আরোপ করে সমাজ। অনিমেষের ভাষ্যে, ‘গানের কথায় বলা হয়েছে, সেসব চাপ আমি নেব না। আমি আমার মতো ভাবতে চাই, বাঁচতে চাই। আমার মতো করে কেউ গ্রহণ করলে তাঁর সঙ্গে আছি।’
মূলত গানের হাজং ভাষার অংশ লিখেছেন অনিমেষ, র্যাপ গানের অংশ লিখেছেন সোহানা। লেখার পাশাপাশি গানে কণ্ঠও দিয়েছেন তাঁরা; গানে শিল্পী হিসেবে আছেন সায়ন্তন মাংসাং, সাদুল ইসলাম, ইমরান আহমেদ। গানের সুরও করেছেন সায়ন্তন মাংসাং।
ঢাকায় আসার পর মাস চারেক আগে গানটি লিখেছেন অনিমেষ; গত বছর কোক স্টুডিও বাংলার প্রথম মৌসুমে ‘নাসেক নাসেক’ গানটি পরিবেশন করে রাতারাতি পরিচিতি পান অনিমেষ। এবার দ্বিতীয় মৌসুমের একমাত্র গানে কণ্ঠ দেন তিনি।
ফেব্রুয়ারিতে ‘মুড়ির টিন’ গানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় মৌসুমের যাত্রা শুরু করে কোক স্টুডিও বাংলা, আঞ্চলিক ভাষাকে সম্মান জানিয়ে ভাষার মাসে প্রকাশিত হয় গানটি। এতে কণ্ঠ দেন তিন শিল্পী পল্লব, তৌফিক আহমেদ ও রিয়াদ হাসান। প্রকাশের এক মাসের ব্যবধানে গানটির ‘ভিউ’ এক কোটি ছাড়িয়েছে। মার্চে প্রকাশ করা হয় দ্বিতীয় গান ‘বনবিবি’। গানে কণ্ঠে দেন মেঘদলের শিবু কুমার শীল ও জোহরা বাউল। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে গানটিরও ভিউ এক কোটি ছাড়িয়েছে।