আমাদের আশপাশে ভ্রমণপিপাসু লোকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। একেকজনের ভ্রমণের উদ্দেশ্য থাকে একেক রকম। শুধু নতুন জায়গা ঘুরে দেখা আর ভিন্ন সংস্কৃতি, খাবার ও ভাষার অভিজ্ঞতা অর্জনই নয়, নতুনভাবে বাঁচতে শিখতেও ভ্রমণকে বেছে নেন কেউ কেউ।
ভ্রমণপিপাসুরা যখন কোথাও গিয়ে থাকেন, ব্যতিক্রমী কিছু করে স্মৃতি হিসেবে রেখে দিতে চান। উদ্দেশ্য—বাকি জীবন সেই স্মৃতি রোমন্থন করা। সম্প্রতি গুয়াতেমালা ভ্রমণে গিয়ে ব্যতিক্রমী কিছু করার কথা মাথায় চাপে আলেকসান্দ্রা ব্লোজেত্ত নামের এক নারী পর্যটকের।
অভিনব এক পিৎজা খাবেন বলে স্থির করেন আলেকসান্দ্রা। ওভেনে নয়, সক্রিয় আগ্নেয়গিরির তাপে বানানো পিৎজা খেলেন তিনি।
এ নিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন আলেকসান্দ্রা। তাতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি একটি ট্রেতে প্রচুর সবজিসহ একটি পিৎজা নিয়ে আগ্নেয়গিরির কাছে উত্তপ্ত মাটিতে রাখছেন। কিছুক্ষণ পরই পিৎজাটি আলেকসান্দ্রাকে খেতে দেওয়া হয়। পিৎজাটি তাঁকে উচ্ছ্বাসের সঙ্গেই খেতে দেখা যায়। ভিডিওটি পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘সক্রিয় আগ্নেয়গিরির তাপে তৈরি পিৎজা খাওয়ার জন্য গুয়াতেমালা ভ্রমণ। অবশ্য শুধু এ জন্যই আমরা হয়তো এই ভ্রমণে যাইনি, তবে এটি বাড়তি আনন্দ যোগ করেছে।’
ইনস্টাগ্রামে নিজের অনুসারীদের আলেকসান্দ্রা জানান, প্যাকায়া আগ্নেয়গিরিতে এ ধরনের পিৎজা চাইলেই খাওয়া যায়। তিনি বলেন, ‘এই ন্যাশনাল পার্কে প্রবেশ করতে হলে আপনার অবশ্যই একজন গাইড লাগবে। পিৎজা প্যাকায়ার জন্য আমরা আগেই বুকিং দিয়ে রেখেছিলাম।’
এই পর্যটক আরও বলেন, ‘এটি একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। সর্বশেষ ২০২১ সালে বড় ধরনের অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছে। পরে ক্রমে তা শীতল হতে থাকে। তাই এখানে আসার আগে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিশ্চিত করুন।’
ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করার পর আলেকসান্দ্রার ভিডিওটি ১২ লাখ বারের বেশি দেখা হয়েছে। শেয়ার হয়েছে ৬৯ হাজারের মতো। লাইক পড়েছে ৭০ হাজারের বেশি। এতে পড়েছে নানা ধরনের মন্তব্যও।
ব্যবহারকারীদের একজন লিখেছেন, ‘অসাধারণ অভিজ্ঞতা’। আরেকজন লিখেছেন, ‘বিস্ময়কর! এমনটা জানা ছিল না। আমাদের ভ্রমণ তালিকায়ও রাখতে হবে।’