আধিপত্য বিস্তারের জেরে শাওনকে হত্যা: র‌্যাব

0
103
সংবাদ সম্মেলনের র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

আধিপত্য বিস্তারের জেরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মীরহাজিরবাগে খুন হন মো. শাওন। এক মাস আগে স্থানীয় বাসিন্দা রজবের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির পর তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় শাওনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। আজ বুধবার এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মিজানুর রহমান ও তার সহযোগী মো. জুয়েল ওরফে জুয়েল রানা। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও একটি মোটরসাইকেল।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনের র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে মীর হাজিরবাগ এলাকায় শাওন নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত শাওনের ভাই বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়। মঙ্গলবার রাতে মিজান ও জুয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

র‌্যাবের মুখপাত্র আরও জানান, শাওন টিকাটুলিতে একটি ট্রাভেলস কোম্পানিতে চাকরি করতেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা তার পরিচিত এবং একই এলাকার বাসিন্দা। গত বছর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে শাওনের সঙ্গে রজবের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে গত মাসে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি রজব তার বড় ভাই মিজানকে জানান। এরপর মিজানের নেতৃত্বে তারা শাওনকে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। ঘটনার রাতে শাওন তার স্ত্রীর জন্য ওষুধ আনতে বাসা থেকে বের হন। এ সময় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মিজান মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলের কাছে অবস্থান করেন। আসামি রজব হঠাৎ শাওনকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। তখন জুয়েল রাস্তার মোড়ে পাহারার দায়িত্বে ছিলেন। ভুক্তভোগী গুরুতর জখম হওয়ার পরও দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে আসামিরা আবারও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। ঘটনার পরপরই মিজান ও জুয়েল মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।

র‌্যাব দাবি করে, মিজান যাত্রাবাড়ী এলাকার চিহ্নিত অপরাধী। তার নামে যাত্রাবাড়ী ও মীরহাজিরবাগ এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি ও মারামারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পর তিনি শ্যামপুর এলাকায় তার আত্মীয়ের বাসায় আত্মগোপন করেন। তার নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে।  আর জুয়েল একটি ওয়ার্কশপে কাজ করতেন। পাশাপাশি তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। তিনি মিজানের সঙ্গে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি ও মারামারিতে জড়িত ছিলেন। তার নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় চারটি মামলা রয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.