বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকে যারা ক্ষমতায় আছে তারা ইতিহাস বিকৃতি করে ক্ষমতায় থাকতে তাদের মতো করে যেটা প্রয়োজন সেই ইতিহাস তৈরি করে। তাই আজকে আমরা যে কঠিন লড়াই করছি সেটা ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে; যারা মানুষকে মযার্দা দেয় না, ইতিহাসের স্বীকৃতি দেয় না, স্বাধীনতা-গণতন্ত্র ও সংবিধান বিশ্বাস করে না। অথচ আজকে যখন পাকিস্তানি শাসনামলের সঙ্গে তাদের শাসনামল নিয়ে পার্থক্য তুলে ধরা হয় তখন গায়ে আগুন লেগে যায়।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন রচিত ‘আমার রাজনীতির রোজনামচা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবরা আগের রাতে ফলস ব্যালটে ভোট কেটে রেখেছে। শুনতে পেলাম এখন নাকি গোলযোগ হচ্ছে। এমনকি আমাদের দলের পক্ষে ৭ বার যিনি নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তাকে আঘাত করা হয়েছে এবং সহস্রাধিক আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে নিজেদের দেখা একজন শ্রদ্ধাভাজন ও দেশপ্রেমিক আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, খন্দকার মোশাররফ হোসেন অত্যন্ত কঠিন সময়ে আমরা যারা রাজনীতি করছি, আমরা যা পারেনি সেটা তিনি লিখনির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। রাজনীতির সঠিক ইতিহাস তথ্যে উপাত্তে বইয়ে তুলে ধরেছেন যা আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দেবে। সুকৌশলে তুলে ধরেছেন নিজের মতামত যা সমকালীন রাজনীতির জন্য যথেষ্ট। কেননা এটা সবাই পারেন না। তিনি অত্যন্ত আন্তরিক একজন মানুষ। যখন যা করেন আন্তরিকতার সঙ্গেই করেন। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমরা যখন প্রতিনিয়ত নানা অনিশ্চিয়তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি তখনও খন্দকার মোশাররফ ঠান্ডা মাথায় সবকিছু সমাধান করে যাচ্ছেন। আমার যখন কোনো কিছু সহজে বুঝে উঠতে পারি না তখন উনার কাছে ছুটে যাই, কথা বলি এবং সমাধান পাই। সঠিক পথ পাই। একটা আস্থা তৈরি হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আনোয়ার উল্লাহ। বক্তব্যে রাখেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড খন্দকার মোশরারফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, আব্দুল হাই শিকদার ও সাংবাদিক এম আব্দুল্লাহ প্রমুখ।