সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। পরে বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়।
এই অধিবেশনে সারা দেশ থেকে আসা প্রায় সাত হাজার কাউন্সিলর অংশ নেন। তাঁদের মতামতের ভিত্তিতে দলটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়।
আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করতে দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের অপর দুই সদস্য ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মশিউর রহমান এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আওয়ামী লীগের আগের কমিটি বিলুপ্ত হয়েছে। অতীতের নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয় অধিবেশনে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে দলীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রস্তাব করা হয়। তার ওপর ভিত্তি করে শীর্ষ এই দুই পদে নেতৃত্ব নির্বাচন করেন কাউন্সিলররা। পরে দলের অন্য পদগুলোয় নেতৃত্ব নির্বাচনের সর্বময় ক্ষমতা দলীয় প্রধানের হাতে অর্পণ করা হয়ে থাকে। তিনি দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি হবে।