আসন্ন আইপিএলে খেলতে বিসিবির কাছে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) চেয়ে আবেদন করেছেন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট রেখে তাদের আইপিএল খেলতে যেতে দিতে নারাজ বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। আইরিশদের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে শেষে এই কথা জানান তিনি। তারপরই ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, ভবিষ্যতে আইপিএল নিলামে নিষেধাজ্ঞা পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা।
শুধু এবারই নয়, গেল আসরে নিলামে দল না পেলেও বদলি ক্রিকেটার হিসেবে তাসকিন আহমেদকে দলে নিতে চেয়েছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টস। কিন্তু বিসিবি শেষ পর্যন্ত এই পেসারকে এনওসি দেয়নি। তার ওপর চলতি আসরে সাকিব-লিটনদের অংশ নেয়া নিয়ে চলছে নাটকীয়তা! আর তাতে চটেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
আইপিএলের এক ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষ ভারতের সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘গত আসরে তাসকিন আহমেদ দল পেয়েছিল। বিসিবি তাকে এনওসি দেয়নি। এবার সাকিব, লিটনদের ক্ষেত্রে এই কাজটা হচ্ছে। বিসিবি যদি না চায় যে ক্রিকেটাররা আইপিএল খেলুক তাহলে তাদের নিবন্ধন করতে দেয় কেন। এটা এখন থেকে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের নিয়ে আমাদের ধারণা বদলে দেবে।’
সাকিব-লিটনদের আইপিএলে অংশ নেয়ার ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইপিএল নিলামে ওদের যখন ডাকা হয়, তার আগে আমাদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে ওরা কখন অ্যাভাইলেবল। আমরা ওদের জানিয়ে দিয়েছি এবং এটা জেনেই ওরা ওদের নিলামে নিয়েছে। এরপর আর কোনো কিছু…যদি পরিবর্তন হয় তাহলে তো আমরাই বলব আপনাদের। আমাদের এখন পর্যন্ত কোনো পরিবর্তন আনিনি এখানটায়। আমাদের যেটা ছিল তা-ই আছে।’
বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের এমন আচরণে এবার চটেছে আইপিএলের সেই ফ্র্যাঞ্চাইজি। এবারের আইপিএলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের সময়মতো না পেলে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের নিলাম থেকে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করবে বলেও জানিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আর সত্যিই যদি তা হয় তবে আইপিএলের নিলাম থেকে নিষিদ্ধ হতে পারেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘বিষয়টি এখন বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা তো বিসিসিআইকে কমপ্লেইন করতে পারি না! যেন তারা বোর্ডগুলোকে রাজি করায়। তবে এর পরের মৌসুম থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো অবশ্যই সতর্ক থাকবে তাদের (সাকিব-লিটন) দলে নেয়ার ক্ষেত্রে।’
আইপিএলের শুরু থকেই বাংলাদেশ থেকে খুব একটা খেলোয়াড় সুযোগ পান না। এক সাকিব আল হাসান খেলছেন ২০১১ সাল থেকে। এরপর মুস্তাফিজ খেলছেন গত ছয়-সাত বছর ধরে। তবে প্রতিবছরই আইপিএলে খেলতে যেতে কমবেশি বাধার মুখে পড়তে হয় বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের।
শুধু বাংলাদেশকে নিয়েই যে চটেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো এমনটা নয়! এ তালিকায় আছে শ্রীলঙ্কার নামও। আসন্ন মৌসুমে দেশটির চারজন ক্রিকেটার অংশ নেবেন। তবে আন্তর্জাতিক সূচির কারণে তাদেরও শুরু থেকে পাওয়া নিয়ে রয়েছে জটিলতা।