আইনমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের দুই কর্মকর্তার বৈঠক

0
147
ঢাকায় সচিবালয়ে মার্কিন দূতাবাসের লেবার অ্যাটাশে লিনা খান ও ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) ম্যাথু বেহের সঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ছবি: সংগৃহীত

শিল্পকারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে বর্তমানে যত শতাংশ শ্রমিকের সম্মতির প্রয়োজন হয়, সেটি ধীরে ধীরে কমানোর ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আজ রোববার সচিবালয়ে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের লেবার অ্যাটাশে লিনা খান ও ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) ম্যাথু বেহের সঙ্গে বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন।

সম্প্রতি জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল-২০২৩’ অনুসারে কোনো প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকের মোট সংখ্যা ৩ হাজার পর্যন্ত হলে, সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন করতে ২০ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতি লাগবে। আর মোট শ্রমিকের সংখ্যা ৩ হাজারের বেশি হলে ১৫ শতাংশের সম্মতি লাগবে।

অবশ্য ‘টাইপকৃত ভুলের’ কারণে রাষ্ট্রপতি আইনে সই না করে ফেরত দিয়েছিলেন।
মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধিরা কি ট্রেড ইউনিয়ন করার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতির কথা বলেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটি সাধারণত ১০ শতাংশ। আমি পরিষ্কার করে দিয়েছি, আমাদের এমপ্লয়ার্স এবং ওয়ার্কার্স ফেডারেশন যেগুলো আছে, তারা সব সময় বলে আসছে আস্তে আস্তে কমানোটাই তাদের জন্য ভালো হবে। বাংলাদেশের শ্রমিকের অধিকারের ক্লাইমেট (পরিবেশ) অনুযায়ী এটি কমানো হবে। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। সে জন্য আমরা আস্তে আস্তে কমানোর ব্যাপারে গুরুত্ব দেব।’

মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন শ্রমিক অধিকার নিয়ে তাঁরা নিজেদের বক্তব্য দিয়েছেন। গত বছর থেকেই এই আলোচনা চলছে। আইনটিতে কী অগ্রগতি হয়েছে, আরও অগ্রগতি সম্ভব কি না, বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয়।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে যে শ্রম আইনটি গিয়েছিল, সেটি একটি বিশেষ কারণে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণটা আগেই তিনি ব্যাখ্যা করেছেন। সেই ব্যাপারটাও আলোচনায় এসেছে।

মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী। বৈঠকে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে কোনো কথা হয়নি বলে জানান আইনমন্ত্রী।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.