বৃষ্টি আইনে হারল বাংলাদেশ: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সচরাচর ম্যাচ পায় না বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে ম্যাচ পাওয়া তাই বড় ব্যাপার। কিন্তু বৃষ্টির কারণে পুরো ম্যাচ মাঠেও গড়াল না। বাংলাদেশের ১৪১ রানের লক্ষ্যে নেমে অজিরা ১১.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান তোলে। পরে খেলা শুরু না হওয়ায় বৃষ্টি আইনে ২৮ রানে হেরেছে নাজমুল শান্তরা।
ওয়ার্নারের ফিফটি: বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য শুরুতে সহজ বানিয়ে ফেলেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড। তারা ৬.৫ ওভারে ৬৫ রান তুলে ফেলেন। এরপর দুই ওভারে দুই উইকেট নেন লেগ স্পিনার রিশাদ। ওয়ার্নার খেলেন ৩৫ বলে ৫৩ রানের হার না মানা ইনিংস। তার ব্যাট থেকে পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কার শট আসে। হেড আউট হন ২১ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ৩১ রান করে।
এবার হতাশ করলেন পেসাররা: গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের পেসাররা দারুণ বোলিং করেছেন। বিশেষ করে তানজিম সাকিব ও মুস্তাফিজুর রহমান। অজিদের বিপক্ষে ভালো করতে নতুন বলে তাদের দিকে তাকিয়ে ছিল দল। কিন্তু সুবিধা করতে পারেননি কেউ। তানজিম ১ ওভারে ৯ রান দেন। মুস্তাফিজের ২ ওভার থেকে ২৩ রান তুলে নেয় অজিরা। তাসকিন ১.২ ওভারে ২২ রান দিয়েছেন। শেখ মাহেদী ৪ ওভারে দিয়েছেন ২২ রান।
বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ: বৃষ্টির কারণে টসে বিলম্ব হয়েছে। ওই বাধা ঠেলে কোন বিঘ্ন ছাড়া ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। তবে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ঝড়ে দু’বার ছেদ ফেলেছে বৃষ্টি।
অস্ট্রেলিয়া ১১.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান তুলেছে। ডেভিড ওয়ার্নার ৩৫ বলে ৫৩ রান করেছেন। তার সঙ্গী ম্যাক্সওয়েল ৬ বলে ১৪ রান তুলে ফেলেছেন। বৃষ্টি আইনের হিসাবে বেশ এগিয়ে আছে অজিরা। খেলা আর না হলে জয় পাবে তারা।
মাঝারি সংগ্রহ বাংলাদেশের: সুপার এইটের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ১৪১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। জবাবে ওপেনার ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার ঝড়ো শুরু করেন। রিশাদ হোসেন দুই ওভারে হেড ও মিশেল মার্শকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু দিয়েছেন।
রান পেলেন শান্ত: বাংলাদেশ যেভাবে শুরু করেছিল সহজে ১৫০ ছাড়ানো রান হতে পারত। শূন্য রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর শান্ত ও লিটন ৫০ ছাড়ানো জুটি গড়েন। ৩৬ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় ৪১ রান করে আউট হন অধিনায়ক শান্ত। লিটন দাসের ব্যাট থেকে ২৫ বলে ১৬ রান এসেছে। হৃদয় খেলেছেন ২৮ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ৪০ রানের ইনিংস।
কামিন্সের হ্যাটট্রিক: ইনিংসের প্রথম ওভারে উইকেট নেওয়া স্টার্ক ৪ ওভারে ২১ রান দেন। অ্যাডাম জাম্পা ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। তবে প্যাট কামিন্স হ্যাটট্রিক করেছেন। ১৮তম ওভারের শেষ দুই বলে অজি পেসার মাহমুদউল্লাহ ও শেখ মাহেদীকে আউট করেন। শেষ ওভারের প্রথম বলে তুলে নেন হৃদয়কে।