টস জিতে শুরুতে ব্যাট করে ৩১৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় শ্রীলংকা। ওই রান টপকাতে হলে শুরুতে ভালো ব্যাটিং করতে হতো বাংলাদেশের। কিন্তু মালিঙ্গার বিখ্যাত ইয়ার্কারে প্রথম ওভারেই বোল্ড হন তামিম ইকবাল। ইনিংসের অষ্টম ওভারে ফিরে যান মোহাম্মদ মিঠুন। পরের ওভারেই সৌম্যকে বোল্ড করে দেন মালিঙ্গা। এরপর দলের ৩৯ রানে ফিরে যান মাহমুদুল্লাহ। সেখান থেকে মুশফিক-সাব্বিরে শত রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। তবে দলকে বেশিদূর টানতে পারেনি এ জুটি, দলীয় দেড়শ’ রানে সাব্বির ফিরে গেছেন সাজঘরে।
ধনঞ্জয়া ডি সিলভার করা ইনিংসের ২৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আভিষ্কা ফার্নান্ডোর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ৫৬ বলে ৬০ রানের সময়োপযোগী এক ইনিংস খেলেন সাব্বির। তিনি আউট হওয়ার পর ব্যাট করতে নেমেছেন মোসাদ্দেক হোসেন।
৩১ ওভারের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেট ১৬৬ রান। অর্ধশতক তুলে নেওয়া মুশফিকুর রহিম অপরাজিত আছেন ৫১ রানে। মোসাদ্দেক হোসেন ব্যাট করছেন ৮ রানে।
বাংলাদেশের অন্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মোহাম্মদ মিঠুন ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। সৌম্য সরকার করেন ১৫ রান। তামিম ইকবালের নেতৃত্বের অভিষেক হয় পাঁচ বলে ডাক মেরে। মাহমুদুল্লাহ করেন ৩ রান।
এর আগে কুশল পেরেরা এবং অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ইনিংসের ভিত্তি গড়ে নেয় শ্রীলংকা। তারা ৯৭ রান যোগ করেন। এক প্রান্তে ঝড় তোলেন কুশল পেরেরা। অন্য প্রান্তে উইকেট ধরে রেখে করুনারত্নে ফেরেন ৩৬ রান করে। ঝড় তোলা কুশল ফেরেন ৯৯ বলে ১১১ রান করেন। তিনে নেমে এই উইকেটরক্ষক ১৭ চার এবং এক ছক্কা হাঁকান।
কুশল পেরেরাকে দারুণ সঙ্গ দেন চারে নামা কুশল মেন্ডিস। তিনি ৪৩ রান করে রুবেল হোসেনের বলে ফেরেন। মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। কিন্তু উইকেটরক্ষক মুশফিক কিংবা বোলার রুবেল বুঝতে পারেননি তা। আউটের আবেদন না দেখে আম্পায়ারও ছিলেন নির্বিকার। কিন্তু সততা দেখিয়ে মেন্ডিস সাজঘরের পথ ধরেন। দুই কুশল মিলে যোগ করেন পুরোপুরি একশ’ রান।
শেষ দিকে রান বাড়ানোর দায়িত্ব বুঝে নেন অ্যাঞ্জেল ম্যাথুস। তিনি খেলেন ৫২ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। শেষ দিকে অবশ্য খুব একটা চড়াও হতে পারেননি তিনি। তার সঙ্গে থাকা লাহিরু থিরিমান্নের ব্যাট থেকে আসে ৩০ বলে ২৫ রান। তারা একটা ঝড় তুলতে পারলে সাড়ে তিনশ’র ধাক্কা নিত লংকানদের রান। শেষ দিকে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা কিছু রান যোগ করেন।