অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটি বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন করবেন। যেখানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের বিষয়গুলোসহ দেশের উন্নয়ন কাজের নামে অনিয়ম এবং অর্থ পাচারের বিষয়গুলো ওঠে আসতে পারে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) রাতে প্রজ্ঞাপন দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়নের লক্ষ্যে বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে সরকার একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে কমিটির অপরাপর সদস্যদের মনোনীত করবেন।
শ্বেতপত্র প্রস্তুতি কমিটির সদস্য হচ্ছেন– ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ব্যবসা ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন এবং অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এ কে এনামুল হক, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্টের (বিল্ড) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা বেগম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. কাজী ইকবাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক।
আরও রয়েছেন, ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. এম তামিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্টে স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ে (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শারমিন্দ নীলর্মী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক এবং রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী, বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ও বিশিষ্ট কলামিস্ট ড. জাহিদ হোসেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি এ প্রজ্ঞাপন জারি করেন। এ কমিটি ৯০ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন হস্তান্তর করবে।