ওপেনার হিসেবেও এর আগে অভিষেকে সেঞ্চুরি করেননি কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। সব মিলিয়ে ওপেনার হিসেবে অভিষেক টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে সেঞ্চুরি করা মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান জাকির, এর আগে এ কীর্তি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেন বাইচানের। ১৯৭৫ সালে লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনি করেছিলেন অপরাজিত ১০৫ রানে।
অভিষেক টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে জাকিরের আগে সেঞ্চুরি করেছেন মাত্র আটজন ব্যাটসম্যান। ১৯৫৯ সালে সর্বপ্রথম এ কীর্তি গড়েছিলেন ভারতের আব্বাস বেগ, ম্যানচেস্টারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। জাকিরের আগে সর্বশেষ এ কীর্তি গড়েছিলেন কাইল মেয়ার্স। বাংলাদেশের বিপক্ষেই গত বছর চট্টগ্রাম টেস্টে ২১০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন মেয়ার্স, ৩৯৫ রান তাড়া করে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আমিনুলের সেঞ্চুরিও এসেছিল ভারতের বিপক্ষেই, বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে। অভিষেক টেস্টে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা ১৫তম ব্যাটসম্যান হলেন জাকির, সর্বশেষ ২০১৬ সালে এমন করেছিলেন ইংল্যান্ডের কিটন জেনিংস।
১৭ রানে অপরাজিত থেকে চতুর্থ দিন শুরু করেন জাকির। ফিফটি পান প্রথম সেশনেই, ১০১ বলে। চা-বিরতিতে যাওয়ার আগে এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান অপরাজিত ছিলেন ৮২ রানে। কুলদীপ যাদবকে লং অফের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে নব্বই পেরিয়ে যান জাকির। এরপর মাইলফলকেও গেলেন বাউন্ডারি মেরেই।
৫১৩ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিং করা বাংলাদেশের অন্যতম ভরসা হয়ে ছিলেন তিনি আজ। পেস, স্পিনের বিপক্ষে তাঁর টেম্পারামেন্ট ছিল দারুণ। স্পিনে সুইপও খেলেছেন দারুণভাবে। ইনিংসে ১৩টি চারের সঙ্গে মেরেছেন একটি ছক্কা। অশ্বিনের বলে আউট হওয়ার আগপর্যন্ত তেমন বড় কোনো ভুলও করেননি।