অভিযোগ মিথ্যা, ষড়যন্ত্রের অংশ

দুদক থেকে বেরিয়ে মাহী

0
276
মাহী বি চৌধুরী। ফাইল ছবি

অর্থপাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করেন সাংসদ মাহী বি চৌধুরী। এ বিষয়ে আগামী ২৭ বা ২৮ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন মাহী।

আজ রোববার দিনভর দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে এবং বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাঁকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংস্থাটির উপপরিচালক জালাল উদ্দিন আহমেদ।

মাহী বি চৌধুরী বলেন, আমার নামে দুদকে একটি অভিযোগ এসেছে। সে অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধান করছে দুদক। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমার বক্তব্য গ্রহণ জরুরি ছিল। সে কারণে আমাকে দুদক ডেকেছে।

তাঁর বিরুদ্ধে দুদকে আসা অভিযোগ কোনো রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মাহী বলেন, ‘কিছু লোক তো আছেই যাদের আর কোনো রাজনীতি থাকে না। যাদের কোনো রাজনৈতিক অবস্থান থাকে না, দেশকে দেওয়ার মতো রাজনীতিও থাকে না। তারা শুধুমাত্র মাত্র ষড়যন্ত্রের ওপর নির্ভর করে টিকে থাকার চেষ্টা করে। এটা তাদেরই ষড়যন্ত্র।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে মাহী বলেন, এখানে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অর্জনের কোনো সুযোগই নেই। মানি লন্ডারিংয়ের কোনো সুযোগই নেই। বাংলাদেশের বাইরে আমার যদি কোনো ব্যয় থাকে, সেটা বাংলাদেশের বাইরে আমার বৈধ আয় থেকে।

মাহী জানান, সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্য এবং ষড়যন্ত্রের পেছনে কারা আছেন সেসবও তুলে ধরা হবে।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, আজ রোববার মাহীর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী আশফাহ্ হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও অসুস্থতার কারণে তিনি হাজির হতে পারেননি।

দুদক সূত্র জানায়, মাহী ও তাঁর স্ত্রী বিভিন্ন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন বলে তাদের কাছে আসা অভিযোগে বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, অজ্ঞাত খাত থেকে আয়ের টাকা তাঁরা কৌশলে বিদেশে নিয়ে গেছেন। বিএনপি সরকারের সময়সহ বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন তিনি। এসব অভিযোগ প্রাথমিকভাবে যাচাই-বাছাই করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। উপপরিচালক জালাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে।

এ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য মাহী দম্পতিকে প্রথম তলব করা হয় ৭ আগস্ট। ওই দিন তাঁরা হাজির না হয়ে দুদকে সময়ের আবেদন করলে ২৫ আগস্ট হাজির হতে বলা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.