ভারতে অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তত্ত্বাবধানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে অবশ্যই বিএনপি ক্ষমতায় আসবে।’
ভারতের সংবাদ সংস্থা ইউএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন ভারতে অনুপ্রবেশের দায় থেকে খালাস পাওয়া বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র নেই।’
বাংলাদেশে ফেরা প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমি দেশে ফিরে যেতে পারব, এটা ভেবে ভাল লাগছে। ভারতে কিছু আনুষ্ঠানিকতা এবং শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে আমি দেশে ফিরব।’
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন বলেন ‘আমি এখন আমার স্ত্রীর আসার জন্য অপেক্ষা করছি। তিনি এখন শিলং আসবেন এরপর আমরা নয়াদিল্লি যাব। এরপরে আমরা শিলংয়ে ফিরে এসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করব এবং তারপরে বাংলাদেশে ফিরে যাব।’
২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকার উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে উদ্ধারের পর সেখানকার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। এর পরদিন তাকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এদিকে পাসপোর্ট না থাকায় সালাহউদ্দিন দেশে ফিরতে ট্রাভেল পারমিটের জন্য গৌহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে আবেদন করেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁর আবেদন মঞ্জুর করে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি গৌহাটিতে সহকারী হাইকমিশনকে জানায় বলে নিশ্চিত করেন রফিকুল আলম।
সালাহউদ্দিন আহমেদ ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে আসেন। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন। ভারতে আটকের সময় সালাহউদ্দিন আহমেদ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতে আটক অবস্থায় বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।