অবশেষে যোগাযোগ করল জলদস্যুরা

0
115
ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজে জলদস্যুদের কাছে জিম্মি ২৩

২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি করার ৮ দিন পেরোনোর পর অবশেষে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সোমালিয়ার জলদস্যুরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার (২০ মার্চ) এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, জলদস্যুরা যোগাযোগ শুরু করেছে। এখন আলোচনার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।

দুপুর ২ টার দিকে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জলদস্যুরা যোগাযোগ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, কিছুক্ষণ আগেই জলদস্যুরা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। যেহেতু আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি, তাই আশা করছি তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হলে এই সমস্যার সমাধান হবে।

জলদস্যুরা মুক্তিপণ দাবি করেছে কি না বা কী কথা হয়েছে, জানতে চাইলে এ বিষয়ে এখনই বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি মিজানুল ইসলাম।

সংশ্লিষ্টরা অবশ্য বলছেন, যোগাযোগ শুরু হওয়ায় এখন জলদস্যুরা মুক্তিপণ দাবি করতে পারে। দর-কষাকষি করে সমঝোতায় পৌঁছালে জাহাজসহ নাবিকদের মুক্তি মিলতে পারে।

এদিকে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরো (আইএমবি) থেকে তথ্য নিয়ে জিম্মি জাহাজটির সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে জানতে পেরেছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।

জলদস্যুরা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রেখেছে জানিয়ে সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, জাহাজটি বারবার স্থান পরিবর্তন করছে। এখন দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে আছে এটি। প্রথমে গ্যারাকাদ থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রাখা হয়েছিল। তখন উপকূল থেকে জাহাজে যেতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগত। এরপর জাহাজটির অবস্থান পরিবর্তন করে উপকূল থেকে ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে নিয়ে আসে তারা। সর্বশেষ আবার অবস্থান পরিবর্তন করে জলদস্যুরা। এখন উপকূল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে আছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.