অবশেষে পাওয়া গেল রাজকে, পরীমনি ইস্যুতে মুখ খুললেন, তবে…

0
211
পরীমনি ও শরীফুল রাজ সংগৃহীত

শরীফুল রাজ

শরীফুল রাজ
ছবি: রাজের সৌজন্যে

ফেসবুকে পরীমনি লেখেন, ‘আমি আজ রাজকে আমার জীবন থেকে ছুটি দিয়ে দিলাম এবং নিজেকেও মুক্ত করলাম একটা অসুস্থ সম্পর্ক থেকে। জীবনে সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার থেকে জরুরি আর কিছুই নাই।’ পরীমনির এমন পোস্ট সবাইকে অবাক করে। এরপর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেন পরীমনি। তখন তিনি বলেন, ‘এখনো বিচ্ছেদ হয়নি। তবে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করে রাজের বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছি। আজ থেকে আমরা আলাদা হয়ে গেলাম। শিগগির বিচ্ছেদের চিঠি পাঠিয়ে দেব। বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যা হচ্ছিল। সমস্যা কাটিয়ে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একসঙ্গে থাকার চেষ্টা করেছি, পারলাম না। তাঁর আচার-আচরণ একসঙ্গে থাকার পরিস্থিতি নাই। তাই বাধ্য হয়ে বাসা ছেড়ে আলাদা হয়ে গেলাম।’

পরীমনির কথায় স্পষ্ট, তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার আনুষ্ঠানিকতা সময়ের ব্যাপারমাত্র। যেকোনো মুহূর্তে কাগজে-কলমে তাঁরা আলাদা হয়ে যাবেন। কিন্তু হঠাৎ রাতে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া একটি মন্তব্যে পরীমনি জানান, মান-অভিমান ভুলে তাঁরা আবার এক হয়েছেন। বর্তমানে রাজের সঙ্গেই আছেন তিনি। পরী বলেন, ‘আমরা একসঙ্গেই রয়েছি। বসুন্ধরায় আমাদের বাসায় আছি।’ তবে কি মান-অভিমান ভুলে আবার এক হলেন? জানতে চাইলে এই নায়িকা বলেন, ‘এসব নিয়ে আর কোনো কথা বলতে চাই না।’

পরীমনি ও শরিফুল রাজ

পরীমনি ও শরিফুল রাজ

এমন খবর ছড়ানোর কয়েক ঘণ্টা পর পরীমনি ফেসবুকে রক্তমাখা দুটি স্থিরচিত্র পোস্ট করেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিছানা, বালিশে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। লিখলেন, ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার। সংবাদ সম্মেলন, লোডিং….’। সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিটি ছড়িয়ে যায়। সবার প্রশ্ন, কী হয়েছে পরীমনির? কেন সংবাদ সম্মেলন করতে চাচ্ছেন তিনি। ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।আজ দুপুরে রাজের সঙ্গে কয়েক সেকেন্ড কথা বলা সম্ভব হয়। বেলা দুইটায় শরীফুল রাজ বলেন, ‘আমি আসলে এসব ইস্যুতে কিছুই বলতে চাই না। কী হচ্ছে, এসবের কিছুই আমি জানিও না। জানতেও চাই না। আমি বাসায় আছি। সারা রাত ঘুমাইনি। এখন ঘুমাচ্ছি, ঘুমানোর চেষ্টা করছি।’

অভিনয়জীবনের শুরু থেকেই পরীমনি চলচ্চিত্রের চেয়ে চলচ্চিত্রের বাইরের নানা কর্মকাণ্ডে বরাবরই আলোচিত ও সমালোচিত। প্রেমের সম্পর্কের ব্যাপারেও বেশ খোলামেলা ছিলেন এই তারকা।

একাধিক প্রেম ও বিয়ের সম্পর্কে জড়ানো পরীমনি যখন নতুন করে শরীফুল রাজকে বিয়ের ঘোষণা দেন, তখন একটা অংশ খুব খুশি হলেও আরেকটা অংশ তাঁদের সম্পর্ক টিকে থাকার ব্যাপারে সংশয়ে ছিলেন। তাঁদেরও ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের ঘোষণা প্রকাশ্যে আনার কয়েক মাস পরই দুজনের সংসারজীবন ভালো যে কাটছিল না, এটা শুধু এত দিন তাঁদের কাছের মানুষেরা জানতেন। তাঁরা নানাভাবে দুজনকে বুঝিয়েছেনও। নিজেরাও নিজেদের মতো করে চেষ্টা করেছেন সম্পর্কটাকে এগিয়ে নিতে। কিন্তু কিছুতেই যেন তা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। দুজনের সম্পর্কের অবনতির কারণে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা পর্যন্তও ঘটে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.