এক দল মাঠে নামবে সেমির হাতছানি নিয়ে, আরেক দল আনুষ্ঠানিকতা সারতে। অথচ ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ ঘিরে কত উত্তেজনা ছিল। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ‘বাজবল’ নামক আল্ট্রা-আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে। আর ঘরের মাঠে রোহিত-কোহলিরা হট ফেভারিট। ব্লকবাস্টার এক লড়াইয়ের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সেই উত্তেজনা একেবারে মিইয়ে গেছে। পরিস্থিতি অনেকটা এ রকম, মাঠে নামার আগেই মনে হচ্ছে ভারতের জয় সুনিশ্চিত। তার পরও ক্রিকেট বলে কথা, অনিশ্চয়তার ঘেরাটোপে যার বসবাস। লক্ষ্ণৌতেও আজ তেমন কিছু হলে ক্রিকেটপ্রেমীরা জমজমাট একটি ম্যাচ উপভোগ করতে পারবেন।
দুই হেভিওয়েটের লড়াই এমন ম্যাড়মেড়ে হয়ে যাওয়ার কারণ ইংল্যান্ডের বাজে ফর্ম। পাঁচ ম্যাচ খেলে চারটিই হেরেছে চ্যাম্পিয়নরা। এর পরও কাগজে-কলমে একটা ক্ষীণ সম্ভাবনা ইংল্যান্ডের রয়েছে। তবে সেটা এতই যদি কিন্তু ঘেরা, ইংল্যান্ডের হেড কোচও কোনো আশা দেখেন না। শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর ম্যাথু মট পরিষ্কার করেই বলে দেন, সেমির আশা বাদ দিয়ে তাদের এখন সম্মানের জন্য খেলা উচিত। সেই মান বাঁচানোর মিশনে আজ তাদের প্রতিপক্ষ ভারত, যারা কিনা দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচ হারেননি রোহিত-কোহলিরা, ৫ ম্যাচের ৫টিতেই জিতেছে। আজ জিতলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান পুনঃদখলের পাশাপাশি সেমিও প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের।
স্বাগতিকরা এতটা ফর্মে আছেন, হার্দিক পান্ডিয়ার মতো একজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার চোটে পড়ার পরও দলে কোনো প্রভাব পড়ছে না। লক্ষ্ণৌর স্পিন উইকেটের কথা চিন্তা করে রবিচন্দ্র অশ্বিনকে খেলানোর কথা ভাবছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। কুলদীপ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে তৃতীয় স্পিনার হিসেবে মাঠে নামবেন অশ্বিন। সে ক্ষেত্রে মোহাম্মদ সিরাজকে ডাগআউটে বসতে হতে পারে। বুমরাহর নতুন বলের জুটি হতে পারেন শামি।
ইংল্যান্ডের একাদশেও পরিবর্তন আসতে পারে। অবশ্য খেলোয়াড় পরিবর্তনের চেয়েও জরুরি হচ্ছে ইংলিশদের খেলার ধরনে পরিবর্তন। বাটলার, বেয়ারস্টো, স্টোকস, লিভিংস্টোনদের বিস্ফোরক মেজাজে ব্যাটিং করতে হবে। তবে লক্ষ্ণৌর পিচে পাওয়ার হিটিং সম্ভব নাও হতে পারে। বল থেমে এলে ধৈর্য নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে। এই ধরনের উইকেটে ইংল্যান্ডের প্রধান অস্ত্র হতে পারেন জো রুট। সে সঙ্গে ইংলিশ স্পিনারদের জাদু দেখাতে হবে। মইন আলি, আদিল রশিদকে জ্বলে উঠতে হবে। দু’দলের মুখোমুখি লড়াইয়েও এগিয়ে ভারত। ভারতের ৫৭টি জয়ের বিপরীতে ইংল্যান্ড জিতেছে ৪৪ ম্যাচ।